পাবজি খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্কুলছাত্র হত্যা

পাবজি খেলা নিয়ে স্কুলছাত্র হত্যা
স্বজনদের কান্না

পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় মো. রাজু (১৪) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ইটের আঘাতে আহত হয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাজু।

এ ঘটনায় শনিবার বি‌কে‌লে অভিযুক্ত কিশোর আলিফ কোরাইশির বাড়ি ঘেরাও করে রাজুর স্বজনরা। এসময় বাধা দিলে তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয় ৩ পুলিশ সদস্য। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সাথে অভিযুক্ত কিশোর ও তার দুই স্বজনকে আটক করে।

নিহত মো. রাজু উপজেলার দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আর আটক আলিফ কোরাইশি (১৫) একই গ্রামের রাজু কোরাইশির ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মুঠোফোনে পাবজি খেলা নিয়ে রাজু ও আলিফের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজুকে গ্রামের পাশে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকার কালীগঙ্গা নদীর তীরে কাশবনে নিয়ে যায় আলিফ। সেখানে তর্ক হলে রাজুকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আলিফ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা রাজুকে স্থানীয় সাহরাইল ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে রাজু মারা যায়।

রাজুর মৃত্যুর খবরে তার স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বি‌কে‌লে অভিযুক্ত আলিফের বাড়ি ঘেরাও করে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় নিহত রাজুর স্বজনেরা আলিফকে বাড়ি থেকে তুলে আনতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন উত্তেজিত গ্রামবাসীর ছোড়া ইটপাটকেলে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর ও তার দুই স্বজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।