সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে: উপাচার্য 

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, তা না হলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী প্রসেনজিত কুমারের মৃত্যুর শোক বার্তায় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থী প্রসেনজিত রায় জয়ের অকাল মৃত্যু সত্যি বেদনাদায়ক। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার হারালো একজন মেধাবী সন্তানকে এবং তাঁর পরিবারেরও যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়। গত কয়েক মাসে সড়ক দুর্ঘটনা যবিপ্রবির বেশ কয়েক জন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল প্রয়ান হয়েছে অথবা মারাত্মক আহত হয়ে তাঁরা চিকিৎসাধীন। আমি প্রসেনজিতের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

পড়ুন: ৯ মাস সড়কে প্রাণ গেল ৪৬ পুলিশের, সেনাবাহিনীর ৪

এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর (বুধবার) রাতে নীলফামারী ডোমারের একটি নির্মাণাধীন সড়কে ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে প্রসেনজিত মটরসাইকেল নিয়ে গর্তে পড়ে যান। পরে তাকে দ্রুত তাঁকে নীলফামারী সদর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক দেড়টার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসেনজিত চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রসেনজিতের শিক্ষক ও সহপাঠীরা জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নে।

তাঁর অকাল মৃত্যুতে যবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগ পরিবার, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ (যবিপ্রবিসাস) বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও তাঁর অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।

২০১৪ সালে সড়ক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যশোর চৌগাছা মহাসড়কে যবিপ্রবির প্রথম স্বর্নপদকজয়ী খেলোয়াড় ও একই বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র মো. আবু হানিফ, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান গেছে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের সহপাঠী আলী ও শশীর এবং এ বছরের ২১ মার্চ আনুমানিক রাত নয়টার দিকে ঢাকার জিরানি বাজারে ট্রাক চাপায় মারা যান ফিজিওথেরাপি এ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রুবেল হোসেন।  

এছাড়া গত ১৩ অক্টোবর বুধবার রাত আটটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান রাজীব পিরোজপুরের ঢাকা পিরোজপুর মহাসড়কের নাজিরপুর থানার কবিরাজবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও ছেলেসহ গুরুতর আহত হন।

পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।