‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে গবেষণার বিকল্প নেই’

গবেষক
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে গবেষণার বিকল্প নেই’

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গবেষণার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ। বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ‘অ্যাডভান্সড রিসার্চ মেথোডলজি’ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যথাযথ গবেষনা নেই। শিক্ষার্থীরাও অনেক ক্ষেত্রেই এসব ব্যাপারে অনাগ্রহী। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে গবেষণা বিকল্প নেই। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গবেষণা বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্বে কোনো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে পারছেনা। কারণ আমাদের কোনো মানসম্মত গবেষণা হচ্ছেনা। তাই বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে সঠিক গবেষণা পদ্ধতি জানা প্রয়োজন।

তরুণ গবেষকদের উৎসাহিত করতে আটদিন ব্যাপী গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাংলাদেশ বায়োইথিক্স সোসাইটি (বিবিএস)- এর সহযোগীতায়, জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (এনআইএনএস)- এর আয়োজনে শুরু হয়েছে। এ কর্মশালায় অর্থায়ন করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম মন্ডল এবং বাংলাদেশ বায়োইথিক্স সোসাইটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা, গবেষণা ও প্রকাশনা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের
পরিচালক কামরুজ্জামান।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বায়োইথিক্স সোসাইটির মহাসচিব ও শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেতজের প্রধান অ্যানাটমি অধ্যাপক ড. শামীমা পারভিন লস্কর।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বর্তমান সময়ের গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি বিষয়। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ কর্মশালা করলেই যে সবাই সবকিছু শিখে নেবে ব্যাপারটি তেমন নয়। বরং কিছু বিষয় সম্পর্কে একেবারে না জানার চেয়ে কিছুটা জানা ভালো। সময়ের প্রয়োজনে ও চাহিদা থাকায় সবারই গবেষণায় আগ্রহ বাড়ছে। তাই এ ধরনের আয়োজন গবেষকদের নতুন কিছু জানাতে ভালো ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বায়োইথিক্স সোসাইটির মহাসচিব ড. অধ্যাপক শামীমা পারভিন লস্কর। তিনি বলেন, বিবিএস গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কিত একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সাল থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর পড়ুয়া শিক্ষার্থী, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, পেশাদার চিকিৎসক সহ অন্যান্যদের গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের এই কার্যক্রম আরও বৃহৎ পরিসরে পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।