শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচার না হলে অসহযোগ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

অপরাধ
দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিচার না হলে তীব্র নিন্দা

দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিচার না হলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকরা। দাবি মেনে না নিলে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রধান শিক্ষক পরিষদের মানববন্ধনে এমন দাবি তোলা হয়েছে।

পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, বগুড়া ও গোপালগঞ্জের দুইজন প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এমন ঘটনা আমরা মেনে নেব না। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা যাবে না।

আরও জানিয়েছে, যে দেশে শিক্ষককেরা লাঞ্ছিত, সেখানে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে কীভাবে? যারা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করা হবে।

এ সময় মানববন্ধনে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু জানান, মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছে শিক্ষক, তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং ও গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জিম্মি করে রাখা হয়। সভাপতিদের কোনো কাজ না থাকায় তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করছেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আন্দোলন শুরু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। তখন একটি মহল তা বানচাল করতে লিপ্ত হয়েছে। তাদের শক্ত হাতে দমন করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।