৪৩তম বিসিএস: পরীক্ষার কেন্দ্রে যা নেয়া যাবে, যা নেয়া যাবে না

বিসিএস প্রিলি
৪৩তম বিসিএস প্রিলি

আগামী ২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষায় হাতঘড়ি, অলঙ্কার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

ওই দিন পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ সামগ্রী না আনতে নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি। পরীক্ষা কেন্দ্রে কী কী আনা যাবে আর কী কী আনা যাবে না তা পরীক্ষার্থীদের একদিন আগে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।

আজ বুধবার (১৩ অক্টেবর) পিএসসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে যদি এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পূর্বেই কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বই-পুস্তক, সব রক, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্যাগসহ পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো ইতিপূর্বে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—

ক.
পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সব রকম ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

খ.
পরীক্ষার হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।

গ.
পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

ঘ.
পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পূর্বেই কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধিভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

পরীক্ষার দিন (২৯ অক্টোবর) বই-পুস্তক, সব রকম ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ না আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষার্থীকে পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।

এর আগে এবছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ৪২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় গত ১৯ মার্চ।