শেকৃবির অপূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগারে আসন সংকটে শিক্ষার্থীরা

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সিট সংকট
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

করোনাভাইরাসের দীর্ঘ বন্ধের পর হল-ক্যাম্পাস খুললেও আসন সংকট আগের মতোই রয়ে গেছে ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। অপূর্ণাঙ্গ এই ভবনটিতে প্রয়োজনের অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও, বাড়েনি গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা। ফলে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে গ্রন্থাগারের আসন রয়েছে মাত্র ১৩০টি। অন্যদিকে লাইব্রেরি ভবনটি ছয় তলা হওয়া সত্ত্বেও মাত্র তিনটি তলা লাইব্রেরি হিসেবে ব্যাবহৃত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকেন। আর হলের রিডিংরুম অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ওপরই নির্ভরশীল থাকেন তারা। এছাড়াও চাকরি প্রত্যাশীরা এখানে এসে পড়ায় আসন সংখ্যা আরও কমে যায়। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বসার কোন জায়গাই পাচ্ছেন না।

এদিকে গ্রন্থাগার ভবনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় সংরক্ষিত বই নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর সিফাতুল্লাহ আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের চাপ থাকায় লাইব্রেরিতে আসন পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত আসন না থাকায় বিশেষত পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরঞ্জামের সংকটে লাইব্রেরির আসন সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা সশরীরে এসে প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করতে পারে। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বই, রিসার্চ পেপার ও আর্টিকেল রয়েছে।

ছয়তলা ভবনের মাত্র তিনটি তলা লাইব্রেরি হিসেবে ব্যাবহৃত বার কারণ জানতে চাইলে তনি বলেন, উপরের তিন তলায় কম্পিউটার ল্যাব এবং দুইটি আর্কাইভ তৈরির জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য তাতে শিক্ষার্থী বসার ব্যবস্থা নেই। তবে ষষ্ঠ তলায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার জন্য জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।