ঢাবির বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে চাকরিপ্রত্যাশীরাও, প্রবেশে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে প্রবেশে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ সব গ্রন্থাগার-সেমিনারে আপাতত স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে সেটি মানা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরাও গ্রন্থাগারে প্রবেশ করেছেন। এছাড়াও গ্রন্থাগারে প্রবেশের সময় মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধিও। 

জানা যায়, দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও বিজ্ঞান গ্রন্থাগার। সেই সঙ্গে খুলছে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ।

সকালে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রন্থাগারে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের বাইরে অন্য ইয়ারের শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক বাধে। এক পর্যায়ে জোর করে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীসহ সব শিক্ষার্থী ঢুকে পড়লে তর্কাতর্কি ও হাতাতাতি শুরু হয়। পরে প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্দেশনার বাইরে কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। তবুও নির্দেশ অমান্য করে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সেখানে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীসহ সবাই গ্রন্থাগারের বাইরে এতোদিন পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। এখন গ্রন্থাগার খোলায় সবাই ভেতরে পড়াশোনা করছেন। প্রবেশের সময় প্রথমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের হৈ-হুল্লোড় আর চিৎকার-চেচামেচিতে তা আর সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই হল খুলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার আগেই আজ গ্রন্থাগার খুলে দিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই নিয়ম মেনে আইডি কার্ড দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে যথাসময়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে গ্রন্থাগার ত্যাগ করবে।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে।

স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের যেসব শিক্ষার্থী অন্তত কোভিড ১৯-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধিমেনে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয়/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।