চবির বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে

চবি
চবি ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। অনুমোদিত বাজেটে প্রতি বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা, পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে। এ খাতে সর্বমোট বরাদ্দের পরিমাণ ২৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

তাছাড়া গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও এবার তা বাড়িয়ে রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ৷

আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মলি­ক প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ৩৩তম সিনেট সভায় এই বাজেট উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. মনিরুল হাসান।

পেশকৃত বাজেটে পণ্য ও সেবা (সাধারণ) খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবা (মেরামত ও সংরক্ষণ) খাতে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

উন্নয়ন বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এপিডি ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

এদিকে অনুমোদিত বাজেটে শিক্ষার্থী প্রতি বাৎসরিক গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬১৬ টাকা। এর বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে মাত্র ১৮০ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চিকিৎসায় ৫৮ লাখ, পরিবহন ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৩ লাখ টাকা ও প্রকাশনা খাতে ১৮ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

উল্লে­খ্য, ৩৩তম সিনেট সভার তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ৫৫২ জন ও ছাত্রী ৯ হাজার ৯৩১ জন।কর্মরত মোট শিক্ষক ৮৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৫৬ জন এবং মহিলা ২২৯ জন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এবারের বাজেটে গবেষণা খাতে আগের চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও গবেষণার মান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা আছে আমাদের।

সিনেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. মনিরুল হাসান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ৫৫১ কোটি ৭৫ লাখ চাহিদার অনুক‚লে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে বরাদ্দ পাওয়া যায়। এই বরাদ্দ সমন্বয় করে ৩৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা নীট বরাদ্দ পাওয়া যায়।

সিনেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. মনিরুল হাসান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাস্তবতা যাচাই বাছাই করে ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে।

সিনেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া ও বিশ্বিবদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সাংবাদিকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।