৯০ কৃষককে কৃষি উপকরণ দিলো রাবি শিক্ষার্থীরা

রাবি
তিন ধাপে তিন জেলার ৪টি উপজেলায় ৯০ জন কৃষকের মাঝে এই উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়

গ্রামীণ কৃষকদের মাঝে কৃষি সহায়তা উপকরণ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তিন ধাপে তিন জেলার ৪টি উপজেলায় ৯০ জন কৃষকের মাঝে এই উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়।

গ্রামীণ অর্থনীতির স্থবিরতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে, দরিদ্র্য ও অসহায় কৃষকদের জন্য নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘টেকসই কৃষি প্রকল্প ২০২১’ এর আওতায় এই কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। তাদের এই কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল ‘কৃষিতে হাসবে দেশ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ।’

উপকরণ সহায়তার প্রথম ধাপে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের পূর্ব ভাটদী গ্রামের পূর্ব পাড়ার কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। এই এলাকার ২০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৪ কেজি করে সার বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।

দ্বিতীয় ধাপে, গত ২১ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার অন্তর্গত কাঁচকোল বাজারে কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। উক্ত এলাকার ৩০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি পণ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সবজী বীজ (লাল শাক,পালং শাক, লাউ, সিম প্রভৃতি) বিতরণ করা হয়।

তৃতীয় ধাপে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাশাপাশি দু’টি এলাকায় একই সময়ে (সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা ও খামার বজরা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম) কৃষকদের মাঝে কৃষি পণ্য বিতরণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। উক্ত এলাকার ৪০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আফরোজ বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৃষি উপকরণের আবিষ্কার হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলোর সহজলভ্যতার অভাব ও কৃষিপণ্যের দর বৃদ্ধির সাথে কৃষকের দুর্দশা বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় দরিদ্র কৃষক সময়োপযোগী কৃষিপণ্যের যোগান দিতে পারে না। তবুও জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য ফসল ফলাতে হয় কিন্তু আশানুরূপ ফসল পায় না। নবজাগরণ ফাউন্ডেশন এ সকল হতদরিদ্র কৃষকের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার লড়াইকে সহজ ও সাফল্যমণ্ডিত করতে একই সাথে স্বীকৃতি দিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।