প্রভাষকদের পদোন্নতিতে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন সূচক নির্ধারণ

পদোন্নতি
প্রভাষকদের পদোন্নতিতে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন সূচক নির্ধারণ

দেশের এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের প্রভাষকদের পদােন্নতির নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী আট বছর সন্তোষজনক চাকরির পূর্তিতে প্রভাষকদের অর্ধেককে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি পেতে ১০০ নম্বরের নয়টি সূচক নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে এমপিওভুক্তির জ্যেষ্ঠতা ১৫ নম্বর, একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলে ১৫ নম্বর, ক্লাসে উপস্থিতির জন্য ২০ নম্বর, এমপিওভুক্তির পর থেকে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য/বিরূপ রেকর্ড না থাকলে ১০ নম্বর, বিভাগীয় মামলা না থাকলে পাঁচ নম্বর, প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে অনুকরণীয়/সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য ১০ নম্বর, ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর ১০ নম্বর, উচ্চতর ডিগ্রির (এমফিল বা পিএইচডি) জন্য ৫ নম্বর, গবেষণা কর্ম বা স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের জন্য ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, এমপিও নীতিমালার আলোকে প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষার সনদ, জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধ প্রকাশসহ বিভিন্ন বিষয়ে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। সৃজনশীল বিষয়ে কর্মকাণ্ডের নম্বর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষদের পছন্দমতো নম্বর দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।