সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দায় ফাটল, আসবাব সরানোর নির্দেশ

সলিমুল্লাহ হল
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও ঢাবি লোগো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দার বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বারান্দায় রাখা খাট ও বিছানাপত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

গত ২০ সেপ্টেম্বর হল অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে  বলা  হয়, ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে উক্ত বারান্দায়  কোনোপ্রকার খাট বা বিছানা জাতীয় ভারী আসবাবপত্র রাখা অত্যন্ত  ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বারান্দায় কোনো ছাত্র অবস্থান করতে পারবে না তাই  আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দায় রাখা নিজ নিজ বিছানাপত্র ও খাট সমূহ সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নির্দেশনা দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,‘এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়া না হলে হল কর্তৃপক্ষ এই সব খাট বা বিছনাপত্র সরিয়ে ফেলবে একইসঙ্গে বারান্দায় অবস্থানরত  ছাত্রদের  অনতিবিলম্বে  হল  অফিসে  যোগাযোগ করে সিটের জন্য আবেদন করতে বলা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ফাটলটা সম্ভবত আগেই ছিল, আস্তে আস্তে এখন বড় হচ্ছে । আমি প্রভোস্ট হওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে চিঠি দিয়েছিলাম ফাটলগুলা দেখার জন্য। এরপরে উপাচার্য মহোদয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দিয়েছেন, বুয়েটের তিনজন ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে। আমি তাদের নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করেছি, আমরা নিজেরা গিয়ে বারান্দাগুলা দেখেছি।

তিনি বলেন, বারান্দার মধ্যে পূর্বদিকের একটা কোণায় বেশ বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এতে বারান্দার একটা বীম বাঁকা হয়ে গেছে। ছাদে স্থাপিত ভারী পানির ট্যাংকগুলোও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ।

অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, হলের দ্বিতীয় তলায় দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় বারান্দাতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের, অনেক আগের হওয়াতে বারান্দাগুলোর লোড নেয়ার ক্ষমতা কমে গিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। সেখানে  অবস্থানরত  ভারী  আসবাব  সরিয়ে  ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি মতামত দিয়েছে ভারী কোনো জিনিস বারান্দায় রাখা যাবেনা। গণরুমের শিক্ষার্থী যারা বারান্দায় থাকতো তাদের বিভিন্ন কক্ষে ফাঁকা সিটের  বিপরীতে  বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হল খোলার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে হলটি।স্বাস্থ্য সুরক্ষার  জন্য  হলের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে  হলের  অভ্যন্তরে  পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।