৮ মাসে ২৮টি গবেষণায় সফল গবি

করোনা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধগুলো তুলে দিচ্ছেন বিভাগের শিক্ষকরা

গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)। গবির রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ ৮ মাসে সফলতা পেয়েছে ২৮টি গবেষণায়। যার মধ্যে ২৫টি প্রবন্ধ স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধের একটি কপি সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুকে হস্তান্তর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে স্বল্প ব্যয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়। রসায়ন ও পদার্থ বিভাগের গবেষকরা শুধু গবেষণা করেন না, একইসঙ্গে গবেষক তৈরি করছেন।

এ নিয়ে বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক শামীম মাহবুব বলেন, বিভাগ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে চলছে এখানকার শিক্ষকরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করা হয়৷ বিভাগের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণার কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কার্যক্রম চলমান রেখেছে। এখানে সার্ফেস কেমিস্ট্রি, ড্রাগ ফরমুলেশন, পরিবেশ, নতুন যৌগ সিন্থেসিস, সৌর কোষ, হেলথ ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স্, ন্যানো পার্টিকেল, রেডিয়েশন ফিজিক্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা করা হয়। 

বিভাগের সহকারী প্রভাষক এসএম ফাহাদ বলেন, আমরা নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে গবেষণার কাজ করে থাকি। যার ফলস্বরূপ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে মোট ২৮টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। আমাদের একাধিক গবেষণার কাজ চলমান আছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জিয়াউল আহসান বলেন, এ ধরনের গবেষণা কাজের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জ্ঞানের উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং এ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নতির পেছনে রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করি। 

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ডুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সাথে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছে। এছাড়াও তারা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।