ন্যায়বিচার পাইনি, মিথ্যা মামলায় জেল খাটবো: মালেক

আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে অর্থাৎ ১৫ বছরের কারাভোগ করবেন তিনি। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ন্যায় বিচার পাননি’ বলে জানিয়েছেন সেই গাড়িচালক।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত ৩০ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে আব্দুল মালেক বলেছেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। র‌্যাব আমার বাসা থেকে কোনো কিছুই পায়নি। আমি ন্যায়বিচার পাইনি, আমি মিথ্যা মামলায় জেল খাটবো। কোনো অস্ত্র পায়নি আমার বাসা থেকে।’

আদেশের দিন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মালেকের স্বজনরা। রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। আর মামলার রায়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

পড়ুন: ড্রাইভারের বাসার দরজা-ওয়াশরুমের ছবি ভাইরাল

এর আগে, চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ -এ কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতে এ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই আদালত চলতি বছর ১১ মার্চ এ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। গত ২৪ আগস্ট থেকে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।