কেটে ফেলা গাছের পাশে আরেকটি কৃষ্ণচূড়া লাগালেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাবি
শিক্ষার্থীরা গাছের কফিন সম্বলিত গাছের গুঁড়িটি উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের সামনে রাখছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত প্রায় ৭০ বছর পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে সেই স্থানে আরেকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের পূর্ব পাশে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই গাছ লাগান তারা। গাছ লাগানো শেষে তারা কাটা কৃষ্ণচূড়া গাছের একটি গুড়ি সাদা কাপড়ে লাশের আদলে মুড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এবং মল চত্বর হয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে কৃষ্ণচূড়া গাছটি কাটার জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন কাঠ ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, হাজারও ইতিহাসের সাক্ষী ৭০ বছরের এই পুরনো গাছ কেটে কাঠ বিক্রি করবে।

সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে- ভবিষ্যতে অপরিকল্পিতভাবে যেকোনো গাছ কাটা থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে, কেটে ফেলা গাছটির পরিবর্তে নতুন করে অন্তত একশো গাছ রোপণ করতে হবে, কেটে ফেলা গাছটির কাঠ বিক্রি না করে তা চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের রোপণ করা চারাগাছটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা গাছের কফিন সম্বলিত গাছের গুঁড়িটি উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের সামনে রেখে আসেন।