নিয়োগ পরীক্ষার ফলের দাবিতে মেডিকেল টেকনোজিস্টদের অবস্থান

মেডিকেল টেকনোজিস্টদের বিক্ষোভ
ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে মেডিকেল টেকনোজিস্টরা

নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে মেডিকেল টেকনোজিস্টরা। আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। 

‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-২০২০ নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির’ ব্যানারে এ কর্মসূচিতে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নিয়েছে।

আন্দোলনকারীদের এসময় ‘নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘অবিলম্বে নিয়োগ চাই, নিয়োগ চাই, ২০২০ সালের নিয়োগ চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

অবস্থান কর্মসূচিতে কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা অবিলম্বে চূড়ান্ত ফলাফল চাই। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর এত দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত কেনো ফলাফল কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না, তা আমাদের অজানা। আমরা ইতোমধ্যে ডিজি মহোদয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) ও পরিচালক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্বাস্থ্য সচিবও বলেছিলেন দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এখনো সেই ফলাফল আলোর মুখ দেখছে না।

আলমগীর হোসেন জানান, দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চরম সঙ্কট রয়েছে। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরও কেনো এই বিলম্ব, তার কোনো জবাব তারা পাচ্ছেন না। তাই কোনো উপায় না দেখে এরকম কর্মসূচিতে বসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

কমিটির প্রধান সমন্বয়ক উত্তম কুমার বলেন, আমাদের ১২০০ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু এখনও ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর আগে আন্দোলন করার ফলে ৩১ আগস্টের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও ফলাফল প্রকাশ হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মন্ত্রণালয় আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাচ্ছে। আর অধিদপ্তর বলছে মন্ত্রণালয়ের কথা।  

দাবি না মানলে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার মত কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আন্দোলকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জানান, তারা আজ (মঙ্গলবার) সারা দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পরে তারা বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর জরুরি ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৯ জুন ৮৮৯ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ পদে ২৩ হাজার ৫২২ জন চাকরিপ্রার্থী গতবছর ডিসেম্বরে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।