পিএসসির সুপারিশের ৮ মাস পরও নিয়োগ হয়নি ২১২১ শিক্ষকের

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজার ১২১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের। সরকারি চাকরি হওয়ার পর এরই মধ্যে অনেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে পড়ছেন বিপাকে। এসব শিক্ষকরা দ্রুত নিয়োগ পেয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে চান।

তথ্য মতে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট নিরসনে পিএসসি ১২টি বিষয়ের ১ হাজার ৩৭৮টি সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দিতে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষার (এমসিকিউ টাইপের) আয়োজন করে। পরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর। তাতে ১২টি বিষয়ে সম্মিলিতভাবে ৭ হাজার ১৬১ জন মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন।

পরীক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হলে পিএসসি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা শুরু করে। যা শেষ হয় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র পিএসসি ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ২ হাজার ১৫৫ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে।

সুপারিশপ্রাপ্ত ২ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ১২১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গত জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লকডাউনের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। ৎ

অন্যদিকে, পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত ২ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ শুরু হলেও তা এখনো চলমান আছে। তাছাড়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে পরীক্ষার্থীরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। ক্ষেত্রবিশেষে ভেরিফিকেশনের নামে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। বর্তমানে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারব।