সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক-কর্তৃপক্ষ

সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে অভিভাবকরা দাবি করেছেন, বাচ্চাদের অসুবিধার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতেও পারেন না তারা। স্কুলের প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্ট অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না।

আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম নামে অভিভাবকদের একটি সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না। তারা কী চায়, আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা এখান থেকে কী শিখবে আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না শুধু বস্তা ভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা ছাড়া।

প্যারেন্টস ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, ‘আমরা কখনও বাচ্চাদের স্কুলে গিয়ে কোন সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারি না। স্কুলের কর্তৃপক্ষ কখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। প্রিন্সিপাল অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না।

‘স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা কী চায় আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা এখান থেকে কী শিখবে? আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না। শুধু বস্তা ভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা।’

শিশুদের করোনার টিকা নিশ্চিত করার পরেই স্কুলে পাঠানোর দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুলে খুলে দেয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এটা এক ধরনের ম্যাসাকার (বড় ভুল) হবে যদি তাদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেয়ার পর একদিনের আড়াই লাখ বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিন দাবি

গত বছরের মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ ও পরে অনলাইন ক্লাস চালু হলে স্কুলের পরিচালনা ব্যয় কমে যায়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ – কম্পিউটার, ডাটা বা ওয়াই-ফাই, নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের খরচ বেড়েছে।

যেসব স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ, আর যেসব স্কুল ভাড়া বাড়িতে চলে, তাদের অন্তত ৩০ শতাংশ টিউশন ফি হ্রাস করা এবং সব ফি যৌক্তিক করার দাবি জানানো হয়।

করোনাকালে বকেয়া টিউশন ফির জন্য ক্লাস থেকে বঞ্চিত না করা বা পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত না করে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের দাবিও জানানো হয়।