৪০ মার্কের প্রস্তুতি, পরীক্ষা হলো ৮০ নম্বরের

সাত কলেজের  স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে অসঙ্গতির কথা জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা
সাত কলেজের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে অসঙ্গতির কথা জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা

করোনায় স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো নিতে শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ। দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারলেও পরীক্ষার ধরণ আর প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্ন শেয়ার করে প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন।

রুটিন অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ সালের মাস্টার্সের পরীক্ষা ছিল। সাত কলেজের মাস্টার্সের ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে অসঙ্গতির কথা জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় এক পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীর নেওয়া হয়েছে।

ইডেন মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এমবিএ ফাইনালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরীক্ষার্থী বলেন, বিভাগীয় প্রধান গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রবেশপত্র বিতরণের দিন পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ ও মানবন্টন প্রসঙ্গে ছাত্রীদের সবার সামনে বলেছিলেন ৪০ মার্কের তিনটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রশ্ন থাকবে।

ওই ছাত্রী আরও বলেন, ৪ নম্বর প্রশ্নের বিপরীতে মান ২৬ দশমিক ৬৭ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি প্রশ্নের অর্ধেক ১৩ এবং বাকি অর্ধেক ১৩ দশমিক ৬৭ নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন প্রশ্ন আমরা কখনোই দেখিনি।

এ বিষয়ে কলেজটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুফিয়া আক্তার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশ্ন পত্রে ৮০ নম্বর হলেও শিক্ষার্থীদের আমরা কোন সমস্যা দেখছি না। তাদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবো আমরা। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, প্রশ্ন যেভাবে হোক তোমরা তোমাদের মত করে উত্তর করবে; নম্বর দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।

তিনি বলেন, আমরা নির্বচনী পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের প্রস্তুত করেছিলাম। সেখানে কিন্তু আমরা ৪০ নম্বরে পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। সেটা অনলাইনে হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার প্রশ্ন আগে হয়ে যাওয়া এমনটি হতে পারে। কিন্তু এতে শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না।

এদিকে, একই ধরনের সমস্যার কথা বলেছেন অধিভুক্ত কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী মো. আলামিন। তিনি প্রশ্নের ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, আজকের প্রশ্ন যে স্যার করেছেন তার বিবেকবুদ্ধি নিয়ে আমার যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ৮০ মার্কের প্রশ্নের জন্য সময় এমনিতেই দু ঘন্টা অর্থাৎ ১২০ মিনিট।

তিনি লিখেন, ২টা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে ৫ করে ১০ নম্বরের লিখতে হয়। ৪টা ছোট প্রশ্নে ৫ করে ২০ নম্বরের লিখতে হয় এবং ৪টা বড় প্রশ্নের ১২.৫ করে ৫০ নম্বরের লিখতে হয়। মানে ৮টা প্রশ্ন এবং ৫টা ছোট প্রশ্ন দুই ঘণ্টাতে লিখতে হবে।

পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও লিখেন, এ প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যেন ফেল করি সেটার সু-ব্যবস্থা ঠিকই করে রাখা হয়েছে। যতসব তামাশা। প্রশ্নের ধরন কেমন হবে সেটাও ডিপার্টমেন্ট থেকে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না।