কিউইদের ১৪২ রানের লক্ষ্য দিল টাইগাররা

কিউইদের ১৪২ রানের লক্ষ্য দিল টাইগাররা
কিউইদের ১৪২ রানের লক্ষ্য দিল টাইগাররা

বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রান করেছে স্বাগতিকরা। ফলে জয়ের জন্য কিউইদের করতে হবে ১৪২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অবশ্য গত বুধবারের ম্যাচের মতো ভয়াবহ অবস্থা হয়নি। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি হয়েছে লম্বা।

আজ শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সাহসী পদক্ষেপ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টস ভাগ্য কথা বলতেই আগে ব্যাট করার বার্তা দিলেন তিনি। উইকেট বিবেচনায় অধিনায়কের মান রেখেছেন নাঈম শেখ, লিটন দাসরা। মাহমদুউল্লাহ নিজেও পেয়েছেন রানের দেখা।

আগের ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়া লিটন আজ ০ রানে কোল ম্যাকনকির বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। জীবন পেয়ে তিনি ধীরে ধীরে হাত খোলেন। আজাজ প্যাটেলের করা তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটনের ব্যাট থেকে আসে প্রথম বাউন্ডারি। পরের বলটিও সীমানাছাড়া করেন লিটন।

দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে আসে ৩৫ রান। ৫৪ বলে এই জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে। রাচিন রবীন্দ্রের করা ১০ম ওভারে এসে লিটনের ব্যাট থেকে প্রথম ছক্কার দেখা পায় বাংলাদেশ। ওই ওভারের তৃতীয় বলেই ভাঙে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি। ২৯ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩৩ রান করা লিটন দাস বোল্ড হয়ে যান।

পরের বলে আবারও বিপর্যয়। মুশফিকুর রহিমকে স্টাম্পড করে দেন উইকেটকিপার টম ল্যাথাম। ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেন মুশি। সাকিব উইকেটে এসেই কোল ম্যাকনকির ওপর চড়াও হন। দুই চারে তুলে নেন ১১ রান।

তবে ১১তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের ক্যাচ নেন বেন সিয়ার্স। আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটা একবার ছেড়ে দিয়েও মাটিতে পড়ার আগে অবিশ্বাস্যভাবে তালুবন্দি করেন সিয়ার্স। ৭২ রানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। সাকিব ৭ বলে ১২ রানে।

উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্রেসওয়েলের করা ১৫তম ওভারে দুটি চার মেরে তিনি দলের স্কোর একশ পার করান। এতক্ষণ একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার নাঈম। ৩৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করে তিনি রাচিন রবীন্দ্রের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।

ক্যাচ নেন টম ব্লান্ডেল। হার্ডহিটার হিসেবে খ্যাত আফিফ হোসেনও সুবিধা করতে পারেননি। একবার জীবন পেয়েও ব্যক্তিগত ৩ রানে আজাজ প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন। ১৬তম ওভারের পঞ্চাম বলে দলীয় ১০৯ রানে পতন হয় ৫ম উইকেটের। ভাঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি। অধিনায়কের সঙ্গী হন নুরুল হাসান সোহান।