লকডাউন আর না বাড়ানোর চিন্তা

লকডাউন আর না বাড়ানোর চিন্তা
লকডাউন আর না বাড়ানোর চিন্তা

করোনা প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ ৫ আগস্টের পর আর না বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউনের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হবে এবং গ্রামে গ্রামে গণটিকা কর্মসূচি চালানো হবে। সরকারের সংশ্নিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্য ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে শুরু করা হয়। তবে, ঈদ উদযাপনের জন্য আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে গত ২৩ জুলাই থেকে আবারও দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। এটি আগামী ৫ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, ঈদের বিরতির আগে-পরে দুই দফা লকডাউনেও করোনা সংক্রমণ কমেনি। বরং সংক্রমণের হার সার্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের কার্যকারিতা ও ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। ৫ আগস্টের পর লকডাউন আর থাকবে কীনা তা নিশ্চিত নয়। তবে বিধিনিষেধ থাকছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৫ আগস্টের পর কী হবে সেই সিদ্ধান্ত আমরা দেব। তবে লকডাউন কী পরিসরে থাকবে তা আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো।

এ বিষয়ে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের লকডাউনে সংক্রমণ কমে আসছিল। আমরা তখন আরও ১০ দিন লকডাউনের সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু তা না করে ঈদে লকডাউন তুলে দেয়া হলো।

তিনি বলেন, ফলে সংক্রমণকে যে আটকানো হয়েছিলো তা আবার খুলে গেল। সংক্রমণ বাড়ল। দ্বিতীয় দফায় এবার পোশাক কর্মীদের গাদাগাদি করে যেভাবে ঢাকা আনা হলো তাতে আর কিছুই থাকলো না। সংক্রমণ এখন আরো বেড়ে যাবে।

লকডাউন না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধির উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আর লকডাউনের পক্ষে না। এভাবে যদি প্রশাসন লকডাউন না মানাতে পারে তাহলে মনে হয় আর লককডাউন করাটা ঠিক হবে না। তা না করে বিধিনিষেধগুলো মানানো জরুরি। এখানে কোন ছাড় দেয়া যাবে না।