‘সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার কোনো অধিকার নেই’

জাবি
সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবাল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র জহুরুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, অভিযোগকারী স্ত্রী ও সন্তানসহ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার (শ্বশুর বাড়ি) থেকে স্কুটি দিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলাম। ভিসির বাস ভবনের সামনে আসার পর পেছন থেকে একটি গাড়ি বারবার হর্ণ দিতে থাকে। গাড়িটি চলে যাওয়ার সংকেত দিয়ে রাস্তার একপাশে স্কুটি থামান তিনি। গাড়িটি ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে হঠাৎ থেমে যাওয়ায় অভিযোগকারীও গাড়ি থামান। তিনি দেখেন যে, ১২ থেকে ১৩ বছরের একটি বাচ্চা (মেহেদী ইকবালের ছেলে) গাড়ি চালাচ্ছে। তখন তিনি মেহেদী ইকবালকে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করেন। এসময় মেহেদী ইকবাল উগ্রভাবে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। সহকারী প্রক্টরকে না চেনার দরুন তারা প্রাথমিকভাবে পরিচয় দেননি। মেহেদী ইকবাল গাড়ি থেকে নেমে তাদের সাথে উগ্র ও মারমুখী আচরণ করেন।

অভিযোগ পত্রে জহরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উনি সহকারী প্রক্টর এটা জানার পরে আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনের পরিচয় দেই। তখন মেহেদী ইকবাল বলেন, “সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার কোনো অধিকার নেই। তোমাকে কে এখানে ঢুকতে দিয়েছে? এই ক্যাম্পাস আমার। আমি যাই বলবো তাই হবে। তোমরা এই মুহূর্তে বের হয়ে যাও। আমাকে এখানের সবাই চিনে। আমার ক্ষমতা সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই। আমি যা খুশি তাই করতে পারি। আশেপাশের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবে মেহেদী ইকবাল কে!” এরপর তিনি নিরাপত্তা কর্মী ডেকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন এবং আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।’

এ বিষয়ে মেহেদী ইকবাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা প্রথমে পরিচয় দেয়নি। পরে তাদের সাথে কথা এগুতে থাকে। আশেপাশে থাকা লোকজনও তাদের পরিচয় না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।’

বাচ্চাকে দিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার শরীর ভেজা ছিলো। তাই আমি বড় ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালিয়েছি।’

গার্ড দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সেসময় গার্ডরা টহলরত অবস্থায় ছিলো। আমি তাদের তাড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে গার্ডদের কোন নির্দেশনা দেয়নি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে অভিযোগকারী মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগ তুলে নিয়েছে।’