পুলিশ ভেরিফিকেশন

সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভেরিফিকেশনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি এনটিআরসিএ

পুলিশ ভেরিফিকেশন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি। ফলে মন্ত্রণালয়ও ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারেনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সকল শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হবে। এর পর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনার কারণে এই মুহূর্তে সব কাজেই ধীরগতি চলে এসেছে। তবে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একটি তালিকা পাঠাবে। সেটি মন্ত্রী মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর পর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন যেন দ্রুত শেষ করা হয় সেজন্য আমরা তাদের অনুরোধ করব। তবে এনটিআরসিএ থেকে এখনো আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তালিকা পাঠানো হয়নি।

আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

এদিকে এনটিআরসিএ বলছে, করোনার কারণে এনটিআরসিএর অফিস কার্যক্রম পরিচালনা পুরোপুরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তারা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ ভেরিফিকেশন দ্রুত শেষ করার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ৫৪ হাজার সুপারিশের কথা থাকলেও আবেদন না করা এবং যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়েছে।