চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন

সাতকানিয়া
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন

আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৬০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেন দেড় শতাধিক মুসল্লি।

মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সাতকানিয়ার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতী, বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া ও গাটিয়াডেঙ্গা; লোহাগাড়ার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি; বাঁশখালীর জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর; পটিয়ার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়া এবং বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

স্থানীয়রা বলেন, ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়৷ বালা মুসিবত থেকে দেশের সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে। এরপর দেওয়া হয় পশু কোরবানি। এদিকে আনোয়ারার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। পাশাপাশি চন্দনাইশ উপজেলার জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরাও প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একদিন আগেই ঈদ উৎসব উদ্‌যাপন করছেন।