এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস চান না অভিভাবকরা

এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস চান না অভিভাবকরা
এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস চান না অভিভাবকরা

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাস না দিয়ে পরীক্ষার নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। সেক্ষেত্রে রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়ার পরামর্শ তাদের। মঙ্গলবার অভিভাবক ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলতে পারলে সরাসরি পরীক্ষা নেয়ার জন্য নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই অটোপাস দেয়ার ঘোষণা দেয়া যাবে না।

এতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সাবজেক্ট (বিষয়) কমিয়ে, পরীক্ষার মোট নম্বর ও সময় কমিয়ে প্রতি বিষয়ের জন্য ৫০ নম্বর নির্ধারণ করে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে স্ব-স্ব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিতে হবে।

পড়ুন: এসএসসি-এইচএসসির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ, ঘোষণা আসছে

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর সব পাবলিক পরীক্ষা তথা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এভাবে নেয়া হয়েছিল বলে স্মরণ করিয়ে দেন অভিভাবকরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে জরুরিভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া প্রয়োজন। ভ্যাকসিন দেয়ার পরই পরীক্ষার আয়োজন করা হোক।

এদিকে, অ্যাসাইনমেন্ট, জেএসসি ও এসএসসির রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস আহমেদ বলেন, আমরা অটোপাস চাই না। আমদের এইচএসসি-২০২১ ব্যাচের ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থী করোনার এই মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প উপায়ে মূল্যায়ন চাচ্ছে।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ চাইলে আমাদেরকে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যালয়ন করতে পারেন। কিংবা আমাদের আগের জেএসসি ও এসএসসির যে রেজাল্ট আছে তার ভিত্তিতেও মূল্যায়ন করতে পারেন। তবে এই পরিস্থিতিতে যদি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়, তাহলে সেটা হবে খুবই অবাস্তব।

করোনায় সশরীরে পরীক্ষা আয়োজনে ক্ষতির আশঙ্কা করে তিনি বলেন, সশরীরে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিভাবকও কেন্দ্রে আসবে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হবে। আর কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন আক্রান্ত হলে তার কি হবে? ওই পুরো হলের শিক্ষার্থীদের কি হবে? ফলে সে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না।