ছবিতে অধ্যয়নরত ব্যক্তি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নন

ফেসবুক
ফেসবুক পোস্ট

বাংলাভাষাভাষী মানুষজনের মনে অধ্যাবসায় বলতেই চলে আসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই চুল দেয়ালে বেধে অধ্যয়নরত অন্য এক ব্যক্তির ছবি দিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুষ্প্রাপ্য ছবি বলে দাবি করা হয়।

আসলে ছবিটি রাশিয়ার লেখক ও সাংবাদিক ভ্লাস মিখাইলোভিচ ডরোশেভিচের (ভি এম ডরোশেভিচ) বই ‘ইস্ট অ্যান্ড ওয়ার’-এর ১১৩ নম্বর পাতায় রয়েছে। বইটি ১৯০৫ সালে রাশিয়ার সাইটিন পাবলিশার থেকে প্রকাশিত। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ছবিটি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পড়তে পড়তে যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে সেজন্য চুলের টিকি দেওয়ালে পেরেকে বেঁধে রেখেছে।

১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নামপরিচয় ভি এম ডরোশেভিচের বইটিতে উল্লেখ নেই। তবে তিনি যে বিদ্যাসাগর তা-ও দাবি করা হয়নি।

ভি এম ডরোশেভিচের ‘ইস্ট অ্যান্ড ওয়ার’ বইয়ের ১১৩ নম্বর পাতায় দেওয়া ছবি

১৮২০ সালে জন্ম নিয়ে ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণকারী বাঙালি মনীষী ঈশ্বরচন্দ্র পড়াশোনা করেছিলেন কলকাতার সংস্কৃত কলেজে। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন না। অথচ বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে বিদ্যাসাগরের দুষ্প্রাপ্য ছবি বলে ভুলভাবে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

এ ছাড়া উম্মুক্ত জ্ঞানচর্চার ওয়েবসাইট ফারবাউন্ড ডটনেটে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায় নিয়ে এক লেখায় ছবিটিকে ভি এম ডরোশেভিচের ‘ইস্ট অ্যান্ড ওয়ার’ বইয়ের বলে উল্লেখ করা হয়।