চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর খবরটি গুজব

চাকরির বয়স
চাকরির বয়স বাড়ানোর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে লেখা ফেসবুক পোস্ট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। খবরটি সঠিক নয় বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ বিভাগ।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ‘প্রাইমারি ও শিক্ষক নিবন্ধনসহ সকল জব পরিক্ষার প্রস্তুতি’ নামক ফেসবুক গ্রুপে পারুল যাইমা নামক একাউন্ট থেকে পোস্ট করে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ চাকরির বয়স বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী’।

এ ছাড়া শুক্রবার সোয়া ২টার দিকে ‘বিসিএস প্রিপারেশন উইথ অগ্রদূত’ নামক গ্রুপে এসএইচ শাকিল নামক আইডি থেকে এ সংক্রান্ত পোস্ট করা হয়। পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: সময় নিউজ।’

কিন্তু সময় টেলিভিশনের ওয়েবসাইট সময় নিউজে এমন তথ্য সংবলিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা শুক্রবার বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। যারা ফেসবুকে লিখেছে ব্যক্তিগতভাবে লিখেছে। এটা কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য নয়।’

তবে ইতিপূর্বের মতো বিশেষ পদ্ধতি আনা হতে পারে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ওই জনসংযোগ কর্মকর্তা।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর পিছিয়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে ৩২ বছর করার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে চাকরিতে বয়সের সময়সীমা ৩২ বছর করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।