চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ইবির অস্থায়ী কর্মচারীদের

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ইবি কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ইবি কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা। বুধবার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর সংলগ্ন আম বাগানে অবস্থান নিয়ে চাকরি স্থায়ী করার দাবি করেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে তারা বলেন, আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছি। আামদের এই অবস্থান নেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য হলো চাকরি স্থায়ীকরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন নিয়মানুযায়ী কিছু লোকের স্থায়ী সমাধান করা হবে। তবে বিগত উপাচার্যগণ আশ্বস্ত করলেও কোন কাজ হয়নি। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করা হোক।

তারা বলেন, আমরা প্রায় সাত মাস করোনার কারণে বাড়িতে আছি। আমরা কোন বেতন পাই না। আমাদের সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বলব বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শূণ্য পদ রয়েছে, এ শূণ্য পদগুলোতে অনতিবিলম্বে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক।

এদিকে, কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবির প্রেক্ষিতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

সদস্যরা হলেন- প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়িারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল করিম ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে।’