৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আলটিমেটাম

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তা না হলে জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম ও হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহই যথেষ্ঠ। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব।

তিনি বলেন, হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটোপাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।

এতে ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, তরুণরা হয়ত অনেকে বুঝতে পারছে না যে তাদের ভবিষ্যতের ক্ষতিটা কি হচ্ছে। সন্তানের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য, জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য ছাত্র, শিক্ষক, অভিবাবক সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। সেই আন্দোলনে আশা করি ছাত্র, শিক্ষক, জনতা সবাই থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া না হলে আমরাই প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বাধ্য হবো।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

এদিকে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর দশ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। পরে কয়েক দফা সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।