হাবিপ্রবিতে দ্রুততম সময়ে ভিসি নিয়োগ চায় গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ

হাবিপ্রবি
হাবিপ্রবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ৬ষ্ঠ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্নাঙ্গ  উপাচার্য পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য দিয়েই চলছে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম।
রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত  উপাচার্যের সীমাবদ্ধতা থাকায় প্রশাসনিক, একাডেমিক ও উন্নয়ন  কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় দ্রুততম সময়ে পূর্নাঙ্গ উপাচার্য নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন ২০২১) গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড.ফাহিমা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা  প্রফেসর ডা. মো: ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। 

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ উল্লেখ করেছেন,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী “গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ” এর কার্যনির্বাহী কমিটি অদ্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৩০টায় একযোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে ও অনলাইন প্লাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সভার আয়োজন করে। সভায় হাবিপ্রবিতে দ্রুততম সময়ে উপাচার্য নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট দ্রুততম সময়ে উপাচার্য নিয়োগের জোর আবেদন জানাচ্ছে। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্তকে এ সংগঠন স্বাগত জানাবে। সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগীতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ বদ্ধ পরিকর।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমকে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদারকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য উপাচার্যের  রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য অফিস আদেশ দেয়।