হাফিজের মৃত্যু

মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ঢাবির, ৫ অভিযানে আটক ২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এলএসডি নামে ভয়ঙ্কর এক মাদকের সংশ্লিষ্টতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর পর মাদকবিরোধী অভিযানে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ কয়েকদিনের এ অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ (টিএসসি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত পাঁচটি মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। যেখান থেকে ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে শাহবাগ থানা ও প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে অভিযানগুলো চালায়।

এর মধ্যে গত বুধবার মধ্যরাতে সর্বশেষ অভিযান চালায় প্রশাসন। এ সময় মাদক সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করতে না পারলেও এর আগে গত (১৪ জুন) অভিযান চালিয়ে সাত বহিরাগতকে আটক করা হয়। তারা হলেন- আরমান (১৮), মাসুম (২৪), ইলিয়াস (১৫), পারভেজ (১৭), মিঠু (২৫), ইমন (২৫), লিটু (২০)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, হাফিজুরের মৃত্যুর সঙ্গে ভয়ঙ্কর মাদকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারই অংশ হিসেবে এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাউকে যদি এসব কাজে জড়িত পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১৫ মে (ঈদের পর দিন) জরুরি কাজের কথা বলে ঢাকার রওনা হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা মাদকের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট তাদের কোর্টে চালান করা হয়েছে। যারা সরাসরি যুক্ত নয়, তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।