‘শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি বন্ধ করুন, শিক্ষার্থীদের টিকা দিন’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ

শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধির চেষ্টা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা আহবান জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আজ শনিবার (১২ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোট এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অর্থ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজুল্লাহ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিক্ষার উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক এবং শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার ঘৃণ্য দৃষ্টিভঙ্গি।এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি সরকার শিক্ষাকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। 

তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু এই সরকারের নয় স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই এই দৃষ্টিভঙ্গিতে চলেছে। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ অতীতে শাসকশ্রেণীর এই ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। সামনের দিনেও এই ধরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এই বিশ্বাস আমরা করি।

এছাড়াও বক্তারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া, মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করে টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করার দাবী জানান। এ দাবীগুলো মানা না হলে সামনের দিনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তার।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল টিএসসি প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ হয়ে আবার টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের নামে শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধ করতে হবে।

২. অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

৩. করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করতে হবে।

৪.মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত করে টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এবং

৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।