৮০০-এর মধ্যে আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, পাকিস্তানের ৪টি

লেখক ও ঢাবির ছবি
লেখক ও ঢাবির ছবি

পাকিস্তানের ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউএসটি) এইবার কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান হলো ৩৫৫তম। এটিই এখন পাকিস্তানের সেরা প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেরা প্রতিষ্ঠান হলো পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস (পিআইইএএস) যার অবস্থান হলো ৩৭৩তম। আর তৃতীয় সেরা প্রতিষ্ঠান হলো কায়েদ-এ-আজম ইউনিভার্সিটি। এটির র‌্যাংকিং হলো ৪৫৪তম! পাকিস্তানের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ৬৫১ থেকে ৭০০-এর মধ্যে। আর তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে ৮০০ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।

ভারতের সেরা প্রতিষ্ঠান হলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি), যার ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান হলো ১৭৭তম! কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আইআইএসসি অনেক প্যারামিটার যেমন প্রতি ফেকাল্টির সাইটেশন, গবেষণা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্যারামিটারে ১০০ তে ১০০ স্কোর করেছে যা এমআইটি হার্ভার্ডের মতো। প্রায় একই কথা বলা চলে আইআইটি বোম্বে এবং অন্যান্য আইআইটির ক্ষেত্রে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের বয়সও ১০০ বছর থেকে একটু বেশি। আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১০০ হলো। প্রায় একই সময়ে জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠার চিত্রটা বুঝতে হবে। একটি শক্ত সবল কর্মঠ হচ্ছে আর অন্যটি লুলা ল্যাংড়া খোঁড়া হচ্ছে।

আমাদের ১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পাকিস্তানের ৪টি আছে। জ্বালা ধরে না? এইগুলা কি আমাদের চেতনায় আঘাত করে না? আসুন আমরা জিডিপি, পার ক্যাপিটা আয়, উন্নয়ন ইত্যাদি ভিজিয়ে খেয়ে বুদ্ হয়ে থাকি। আর এই ফাঁকে আমাদের দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করে অর্থ পাচার করে একদিন বিদেশে পালাক।

 

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়