শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানাবে গুচ্ছ কমিটি

শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানাবে গুচ্ছ কমিটি
শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানাবে গুচ্ছ কমিটি

প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। সমন্বিত ভর্তি কমিটির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। তবে সব প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় নির্দিষ্ট তারিখে এ পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।

আজ বুধবার (০৯ জুন) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে।

ভর্তি কমিটির আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা না পিছিয়ে উপায় নেই। প্রাথমিক আবেদনের কাজই শেষ করা যায়নি। চলমান বিধিনিষেধের পর প্রাথমিক আবেদনের জন্য ১০ দিন সময় বাড়ানো হবে। এখন যদি ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকে, তাহলেও প্রাথমিক আবেদন করতে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে যাবে।

তিনি বলেন, তারপর আবার চূড়ান্ত আবেদনের বিষয় তো আছে। এসব করতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় কবে এই পরীক্ষা হবে, তার তারিখও ঘোষণা করা যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে।

অবশ্য জুনে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে আগেই জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-​কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।

তিনি বলেছেন, ১৯ জুন থেকে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভবনা নেই। সরকার ঘোষিত বিধি-নিধেষ যদি আগামী ৭ জুন থেকে তুলে নেয় তাহলে প্রাথমিক আবেদন শেষ হবে ১৬ জুন। এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও আবেদন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও তৈরি- তাই ধরেই নিতে পারি যে, আগামী ১৯ জুন থেকে পরীক্ষা হচ্ছে না।

তথ্যমতে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। গত ১ এপ্রিল থেকে জন্য শুরু হয়েছে প্রাথমিক আবেদন। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত চলবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদন।