এমবি কিনা পোলাপানে পাবজি খেলতাছে—গানের সুরে স্কুল খোলার দাবি

স্কুলের শিক্ষার্থী
ভাইরাল ভিডিও

স্কুল খোলার দাবিতে অনলাইনে ঘুরছে নানা ধরনের গান। সেই গানের সঙ্গে রয়েছে নাচ। আর এই মুহূর্তে এসবই দেখছে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী। একটি গানের কথা এমন- 'স্কুল খুইলা দে রে তোরা, অনলাইনে লেখাপড়া গোল্লায় যাইতাছে, এই স্কুলের এমনি ধারা; এমবি ছাড়া হয় না পড়া; এমবি কিনা পোলাপাইনে পাবজি খেলতাছে...' 

ঠিক এমনই কাছাকাছি কথামালার গান অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। 'ইউটিউবে স্কুল খুইলা দে রে খালা নামে' একটি গান দেখা যায় যার শুটিং করা হয়েছে অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে। যেখানে কয়েকজন ছেলে মেয়ে গানের সঙ্গে নাচছেন। 

স্কুল খোলার জন্য অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনেও নামছেন। কোথাও কোথাও হচ্ছে মানববন্ধন। শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, ঘরে বসে প্রকৃতপক্ষে লেখাপড়া হচ্ছে। মোবাইল নিয়ে ছেলে মেয়েরা শুধু গেমস খেলে, পড়ালেখা সেই অর্থে হয় না।

বেলাল হোসেন নামের একজন অভিভাভকও বলছেন, 'আমাদের সন্তানরা নৈতিক অবক্ষয় থেকে উদ্ধার চাই, আর সেটা সম্ভব স্কুল খোলার মাধ্যমেই।'

পড়ুনঃ হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম

আরেকজন অভিভাভবক বলছেন, 'মোবাইল দিয়ে পড়াশোনার চেয়ে, কার্টুন বা গেম খেলার প্রতি আসক্তি হয়ে গেছে বাচ্চাদের।'

বাহার আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, 'আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করে বলতেচাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণ পরিস্কার করে বলার জন্য কারণ আমি ঢাকায় থাকি আমি এইখানে মানুষের যে জটলা দেখি তাতে করোনা মহামারী নেই মনে হয়। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এটা ভুল সিদ্ধান্ত নয় কি?'

এদিকে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি যদি খুব বেশি খারাপ না হয়, তাহলে ১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা রয়েছে। স্কুল-কলেজ খুললে প্রথম ধাপে দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির সপ্তাহে ৬ দিন করে ক্লাস নেওয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস নিতে পারব।