চাকরির বয়সসীমা ৩২ করার দাবি যুবপ্রজন্ম সংগঠনের

চাকরিপ্রত্যাশী
চাকরিপ্রত্যাশী যুবপ্রজন্ম সংগঠন

করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী যুবপ্রজন্ম সংগঠন। যুব সমাজের হতাশা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (৬ জুন) দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। দাবি বাস্তবায়নে তারা জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, বাংলা কলেজ, তেজগাঁও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পড়ুনঃ সরকারি চাকরি: শিগগির পুরোদমে শুরু হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া

চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘করোনায় শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই বছর সময় জীবন থেকে নষ্ট হতে চলছে। তাই করোনাকালীন সরকারের সব প্রণোদনার পাশাপাশি মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে আমরা বেকার যুবকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘প্রণোদনা স্বরূপ’ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছরে উন্নীত করার দাবি জানাই।’

তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত ‘প্রতিশ্রুতি’ (বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ) অনুযায়ী আমরা এ দাবি ও আবেদন জানাই।’

দাবি বাস্তবায়নে আগামী ১১ জুন শাহাবাগে জনসমাবেশ করা হবে বলেও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৯১ সালে যখন গড় আয়ু ছিল ৫৫ বছর তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭, অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর। ১৯৯১ সালে সেশনজটের পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ থেকে করা হলো ৩০ বছর। তখন ১৯৯১ সালে গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এরপর ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ আর মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয় ৬০। অবসরের এই ২-৩ বছর বাড়ার কারণে এই সময় তেমন চাকরির বিজ্ঞপ্তি হয়নি। ১৯৯১ থেকে ২০২১ এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়েনি এই ৩০ বছরেও।

চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের পক্ষে তাদের দাবি তুলে ধরেন তানভির হোসেন, সাজিদ রহমান, সুমনা রহমান ও আনোয়ার সাকিন।