পশ্চিমবঙ্গে এবারের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে

একাডেমিক পরীক্ষা
করোনা আবহে ২১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়

করোনার সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনের খবর।

সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এবিপি আনন্দ বলছে, বিশেষজ্ঞ কমিটি যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, এই মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে পরীক্ষার পরিবর্তে কোন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন তা নিয়েও রয়েছে একাধিক প্রস্তাবও থাকছে প্রতিবেদনে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ বছরের সিবিএসই দশমের পর দ্বাদশ এবং আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার তাহলে কি বাতিল হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকও? করোনা আবহে ২১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।

এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমনই মতামত দিয়েছে রাজ্য সরকারের গঠিত ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের প্রতিবেদন পেশের পর নেয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে, সেটা পর্ষদ ও শিক্ষা সংসদ জানাবে। 

কমিটির বক্তব্য, করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া উচিত হবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে শিশুদেরও। যে বয়সের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের টিকাই দেয়া হয়নি।

কিন্তু, প্রশ্ন হল, শেষ অবধি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না হলে, পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে কীভাবে? সূত্রের খবর, একাধিক প্রস্তাব উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে। 

উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে বসিয়ে হোম অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে যাঁদের বসার কথা, তাঁদের বিজ্ঞান বিভাগে ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল এবং কলা ও বাণিজ্যে ২০ নম্বরের প্রজেক্টের নম্বর জমা পড়েছে সংসদের কাছে। 

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিগত একাদশ শ্রেণির বার্ষিক অসম্পূর্ণ পরীক্ষার ফলও নজরে আছে কমিটির। 

মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ১০ নম্বরের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট মাথায় রাখা হচ্ছে।

এদিকে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে। প্রতিবেদন ১০ দিনের মধ্যে জমা পড়বে।