৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: সুপারিশের কাজ চলমান রেখেছে এনটিআরসিএ

গণবিজ্ঞপ্তি
স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন জনৈক শিক্ষক

দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় নিয়োগে সুপারিশ করতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে সুপারিশ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তথ্যমতে, গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। গত ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ৫৪ হাজার পদের বিপরীতে এবার রেকর্ড ৯০ লাখ আবেদন জমা পরে। এরপর চলতি মাসে নিয়োগ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

গত ৬ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি মো. দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন। স্থগিতাদেশে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। এতে করে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। আগামী ১৮ মে আদালতে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর সুপারিশ বন্ধ রেখেছে এনটিআরসিএ। তবে সুপারিশ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৮ এপ্রিল আদালতের রায় এনটিআরসিএর পক্ষে গেলে শিগগিরই সুপারিশ সম্পন্ন করবে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন শনিবার (১৫ মে) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আমরা সুপারিশ বন্ধ রেখেছি। তবে আমাদের অভ্যন্তরীণ কাজগুলো আমরা গুছিয়ে নিচ্ছি। যেন আদালতের রায় পাওয়ার পর দ্রুত গতিতে সুপারিশ শেষ করা যায়।

সুপারিশ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় হতাশ জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর থেকে আমি হতাশ। কেননা নিয়োগ সম্পন্ন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদ পূরণ হত৷ এতে করে মান-সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যেত।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন,  মামলার কাজ গতিশীল রাখতে আমাদের আইনজীবীর পাশাপাশি আরও একজন এডিশনাল লয়্যার নিয়োগ দিয়েছি। আমরা যেকোনো মূল্যেই হোক দ্রুত সুপারিশ করতে চাই। আশা করছি ১৮ তারিখে আদালতের রায় আমাদের পক্ষে আসবে।