সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাত মেহেদী দিয়ে রাঙিয়ে দিলো একদল তরুণ-তরুণী

মেহেদী উৎসব
মেহেদী রাঙা উৎসব

পঞ্চগড়ে সুবিধাবঞ্চিত কোমলমতি শিশুদের হাত মেহেদী দিয়ে রাঙিয়ে দিলো একদল তরুণ-তরুণী দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের গরীব অসহায়,পথশিশু ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেহেদী রাঙা উৎসব পালন করেছে একদল তরুণ-তরুণী।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন চত্বরে এ মেহেদী রাঙা উৎসব পালন করে তারা।

এসময় জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক গরীব, অসহায় ও পথ শিশুদের হাতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেহেদী রাঙিয়ে দেয় তারা।

মেহেদী রাঙা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী রাঙা উৎসবের সমন্বয়কারী রাকিব হাসান,আরিফ হাসান, নুসরাত জাহান, রাইকা ওয়ামিয়া মেধা, আলমগীর হোসেন,মখলেছার রহমান মুন্না, আব্দুর রহমান রিফাত, রাফি তামান্না, সাম্মী জিহান, তন্নি, ফাহমিদা আক্তার প্রমুখ।

এ বিষয়ে পথশিশু জুই আক্তার জানায়, আজ হঠাৎ করে আমাদের ভাইয়া ও আপুরা ডেকে ঈদের মেহেদী রাঙিয়ে দিলো হাতে। আমাকে খুব আনন্দ লাগছে আমাকে কেউ কোন দিন এভাবে কাছে ডেকে চকলিট দিয়ে হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দেয়নি।

একই কথা জানান আঁখি আক্তার নামে আরেক শিশু। তিনি জানায়,আমরা গরীব মানুষ। ঈদের আমার বন্ধুরা মেহেদী পড়লেও আমি কোন দিন পড়িনি। আমাকে আজ হঠাৎ করে মেহেদী লাগিয়ে দিলো এতে আমাকে খুব আনন্দ লাগছে৷

এ বিষয়ে কথা মেহেদী রাঙা উৎসবে অংশ নেয়া তরুণী রাইকা ওয়ামিয়া ও নুসরাত জাহান জানান, ঈদের দিনটি সবার জন্য আনন্দের। আমরা যেহেতু আনন্দ করবো তাই আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আনন্দে যেন গরীব অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আমরা সবাই মিলে এসব ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয় দিলাম। যদিও প্রতি বছর বাড়িতে ছোট ভাই বোনদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিতাম এবার ভিন্ন, এবার এসব শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিয়ে অনেক ভাল লাগছে আমাদের৷

এ বিষয়ে উৎসবের সমন্বয়ক রাকিব হাসান জানান, ঈদ সবার জন্য আনন্দের দিন। আমরা সবাই উদ্যােগ নিয়েছি এবছর আমরা নিজে মেহেদী পড়ার পাশাপাশি গরীব অসহায়, পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিতদ শিশুদের নিয়ে মেহেদী রাঙা উৎসব পালন করবো। তাই আমরা আমাদের ঈদ শপিংয়ে টাকা থেকে সবাই কিছু কিছু অর্থ দিয়ে কয়েক শতাধিক শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিয়েছি৷

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত এসব শিশুদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারে৷ সমাজের সবাই যদি এসব শিশুদের এভাবে বিনোদনের ব্যবস্থা করি তাহলে তারা আনন্দের অধিকার উপভোগ করতে পারবে৷