কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

লাইকি-টিকটকারদের দখলে বন্ধ ক্যাম্পাস

লাইকি-টিকটকারদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভিড় জাককানইবি ক্যাম্পাসে
ঈদের দিনে জাককানইবি ক্যাম্পাসে লাইকি-টিকটকারদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভিড়

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপরও ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) দেখা গেছে জনসাধারণের ভিড়। বাদ যায় নি লাইকি-টিকটকারদের উপস্থিতিও। তাদের ক্যাম্পাসের ভিন্নি স্থান দখল করে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিন সারাদিন ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছবি তোলা ও বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করছিলেন অনেকেই। তাদের অধিকাংশই ছিলেন লাইকি ও টিকটকের অভিনেতা।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আজ দেখলাম ক্যাম্পাসে অবাধে মানুষজন চলাফেরা করছে। বেশিরভাগই মাস্ক পরেননি। আবার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কোলাকুলি করছেন অনেকে। এভাবে সংক্রমণও বাড়তে পারে। সেইসাথে ক্যাম্পাস এলাকায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

আরেক শিক্ষার্থী জানান, ‘যতোবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, সীমানা প্রাচীর নিয়ে কথা উঠেছে, প্রশাসন বারবার জমি অধিগ্রহণের কথা বলে টালবাহানা করে। কিছুদিন পূর্বেই স্থানীয়দের গরু-ছাগল এসে ক্যাম্পাসের ক্ষতি করছিলো, সৌন্দর্য নষ্ট করে। আর এখন মানুষ এসে অবাধে চলাফেরা করতে পারছে। ব্যবসায় প্রশাসন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে প্রবেশ করছে। নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি আপলোড দেওয়ার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোয় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অন্যান্য পাবলিকিয়ান গ্রুপগুলোতেও সরব ছিলেন অনেকে।

ফেসবুক পোস্টে একজন লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নেই। অথচ ছুটির দিন বাইরের লোকের এতো সমাগম। এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটক আর টিকটকারদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে। এখানে স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বালাই নেই। বেশিরভাগের মুখে মাস্ক নেই, নেই সামাজিক দূরত্ব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ডেইলি ক্যাম্পাসকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বর্ধিতকরণের জন্য ধাপে ধাপে জমি অধিগ্রহণ চলছে। সেজন্য এখন সীমানা প্রাচীর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সমাপ্ত হলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত প্রাচীর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

ঈদের পরের দিনগুলোয় জনসমাগম এড়াতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেকপোস্টসমূহে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাসম্ভব দ্রুত ক্যাম্পাস ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে স্পেশাল রেসপন্স টিম ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে ক্যাম্পাসে জনসমাগম এড়াতে কাজ করবে।’