ঈদের দিনেও থেমে নেই ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’

করোনা
অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে যেন ঈদ উদযাপন তাদের

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে গত এক বছরে সারাদেশে ৭ হাজারের অধিক করোনাক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়েছে ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’।

এই সেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে আরও যুক্ত আছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স এবং ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ।

তাদের এই কার্যক্রম ঈদের দিনেও থেমে নেই৷ করোনাক্রান্ত রোগীদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে যেন ঈদ উদযাপন তাদের। সেবার শুরু থেকেই ‘অক্সিজেনের ফেরিওয়ালা’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন এই ছাত্রনেতারা।

শুরুতে ব্যাক্তিগত অর্থে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই সেবাদান কর্মসূচি শুরু করলেও এখন সেই সংখ্যা ১২০ এরও অধিক।

আজ শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিনেও ফেনীর আলোকদিয়াতে একজন কোভিড সাসপেক্টেড রোগীর জন্য জরুরী ভিত্তিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয় ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’র সেচ্ছাসেবকরা।

এই উদ্যোগের প্রধান উদ্যোক্তা সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, দেশে এই সংকট যতদিন থাকবে, আমাদের সেবা ততোদিন অব্যাহত থাকবে। পবিত্র ঈদের দিনেও আমরা আমাদের বিনামূল্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। যেহেতু অসুস্থতার কোন দিন নেই, তাই এই সেবা সারাদেশেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, পুরো এপ্রিল মাসে রোগির চাপ এত বেশি ছিল যে সেবা দিতে আমরা হিমশিম খেয়েছি। তবে সরকার ঘোষিত লকডাউন এর কারণে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। সরকার যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এই মৃত্যুর মিছিল থামানো যেত না। বর্তমানে রোগীর চাপ কম কিছুটা। তবে ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা বলা মুশকিল। দেশে যেহেতু ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে তাই আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে না যাক সৃষ্টিকর্তার কাছে সেটাই প্রার্থনা।

তিনি জানান, আমাদের সেবা গ্রহণের জন্য কোন জামানতও জমা দিতে হয় না, নেই কোন যাতায়াত ভাড়াও। সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

‘একটি নতুন ভোরের প্রতীক্ষা’ স্লোগানে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে গত বছরের ২৫ জুন থেকে কাজ শুরু করছে তারা। এই সেবা ২৪ ঘন্টা এবং দেশের ৬৪ জেলায় সর্বদা বিদ্যমান বলে জানান আয়োজকরা।

বেশিরভাগ সময় তারা মোটরসাইকেলে আরোহন করে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেন৷ তবে দূরত্বের উপর ভিত্তি করে সিএনজি কিংবা রিকশায় করেও যান তারা।