ঈদের আগে জামা-জুতার টাকা পাচ্ছে না প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রত্যেকে শিক্ষার্থীর হাতে এক হাজার টাকা যাওয়ার কথা

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার টাকা পাচ্ছে না দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কোটিরও বেশি কোমলমতি শিক্ষার্থী।

যদিও ঈদের আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ‘কিট অ্যালাউন্স’ হিসেবে প্রত্যেকেরই হাতে এক হাজার টাকা পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, কিট অ্যালাউন্স ও উপবৃত্তির বকেয়া টাকা দিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ আমরা পেয়েছি। যে কোনো সময় এ টাকা বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে। এতে তারা নতুন উদ্যমে ক্লাসে ফিরতে পারত। তবে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হওয়ায় এ পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে।

জানা গেছে, জামা-জুতা কেনার এক হাজার টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে উপবৃত্তির তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির টাকা দিতে গত ৯ মে থেকে তথ্য অন্তর্ভুক্তির কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা ডাকবিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের পিইএসপি পোর্টালে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত তথ্য দেবেন।

সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তথ্য এবং চাহিদাসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য পিইএসপি পোর্টালে এন্ট্রির কাজ চলছে এখন। অথচ আগেভাগে উদ্যোগ নিলে ঈদের আগেই এই টাকা শিক্ষার্থী দেওয়া যেত।

জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন উপবৃত্তি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আর কোনো টাকা পাবে না।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় কিস্তির উপবৃত্তির টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা হারে কিট অ্যালাউন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

জামা, জুতা ও স্কুলব্যাগ কেনার জন্য প্রাথমিকের শিশুদের মাথাপিছু এই  টাকা মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত বছর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না হওয়ায় গত বছর এ টাকা বিতরণ করা যায়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টাকা ছাড় করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সে সময়ে সিদ্ধান্ত হয়, কিট অ্যালাউন্স হিসেবে মার্চের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।