পদোন্নতি বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডাররা, সভা আজ

পদোন্নতি পাচ্ছের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে আজ সভা আহবান করা হয়েছে

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাষক পদেই কর্মরত রয়েছেন। অথচ একই সময়ে নিয়োগ পাওয়া অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বহু আগেই পদোন্নতি পেয়েছেন। শুধু ২৮তম বিসিএসেই অন্যান্য ক্যাডারে দুটি পর্যন্ত পদোন্নতি পেলেও শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা প্রভাষক পদেই থেকে গেছেন।

জানা গেছে, অন্যান্য ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি হলেও শিক্ষা ক্যাডারে বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়। কোনো বিষয়ে ওপরের পদ শূন্য হলে নিচের দিকের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পান। শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেওয়াদের বেশিরভাগ শিক্ষকতায় যুক্ত থাকলেও কিছু কর্মকর্তা প্রেষণে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও প্রকল্পে নিয়োগ পান।

এই কর্মকর্তাদের মধ্যে পদোন্নতিযোগ্যদের পদোন্নতি দিতে আজ রোববার (৯ মে) শিক্ষা ক্যাডারের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) সভা আহবান করা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ফজলুর রহমান, মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দু’জন যুগ্মসচিব এ সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে রোববার সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, এক সভায় সম্ভব না হলে ডিপিসির একাধিক সভা করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন বছর ধরে এই ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য অনুযায়ী, এই দুই পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১১ জন। তবে অবশেষে শিক্ষা ক্যাডারের এই পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান হচ্ছে।