বিবিসির প্রতিবেদন

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বেলায় বিদ্যমান টিকা কাজ করবে তো?

দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। ভারতীয় ধরন নিয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া বেশির ভাগ তথ্যই অপরিস্কার। এর খুব কম নমুনাই হাতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতে মিলেছে ২৯৮টি নমুনা। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া গেছে ৬৫৬টি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ধরনের করোনাভাইরাসের তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি নমুনা মিলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমানে চলমান টিকাগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে কি না।

বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এসব টিকা নতুন ভ্যারিয়েন্টের বেলায়ও কার্যকারিতা দেখাবে। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক রবীন্দ্র কে. গুপ্ত বিশ্বখ্যাত জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলেন, কিছু ভ্যারিয়েন্ট থাকবে যেগুলোতে টিকা কার্যকারিতা পাবে না। এক্ষেত্রে কার্যকারিতা ধরে রাখতে আমাদের টিকা তৈরির ফর্মুলায় আপডেট আনতে হবে।

তবে বর্তমানে চলমান টিকা কার্যক্রম সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক রবীন্দ্র কে. গুপ্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জেরেমি কামিল বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্তের পর বিশ্বজুড়ে এটি ৪০০টিরও কম নমুনা শনাক্ত হয়। এ কারণে গবেষকেরা নতুন এই ধরন নিয়ে সেভাবে কাজই করতে পারছেন না।

জেরেমি কামিল বলেন, চলমান টিকাই অনেকের রোগমুক্তি অথবা মৃত্যুঝুকি মাথায় নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। অতএব প্রথম ডোজ নিয়ে নিন। আদর্শ টিকার অপেক্ষায় থেকে বা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে টিকা না নেওয়ার মতো ভুল করতে যাবেন না।

এর আগে যুক্তরাজ্য থেকে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরনের অস্তিত্ব দেশে পাওয়া যায়। রূপান্তরিত নতুন এই ধরন বাংলাদেশে শনাক্তের কথা গত ৫ জানুয়ারি আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে দেশে পাওয়া যায় করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন।