মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের টানা তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কলকাতার রাজভবনে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে শপথ নেন তিনি। রাজভবনে শপথের পর প্রশাসনিক ভবন নবান্নে যান মমতা। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে অগ্রাধিকারের কথা জানান। সে অনুযায়ী পরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

সরকারি এই দুটি হাসপাতাল পরিদর্শনের আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে অসাম্প্রদায়িকতার কঠোর বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্ট্যাটাসে মমতা বলেন, 

“বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল-
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।”

মমতা বলেন, ‘বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে আজ রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলাম। বাংলার প্রতিটি মানুষকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আগামীদিনেও বাংলার ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব, শান্তি-সম্প্রীতি ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখার ব্যাপারে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। মাতৃভূমির সঙ্গে আমাদের নাড়ির বন্ধন অচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে আবদ্ধ, বাংলার মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক। তাই সবার আশীর্বাদকে পাথেয় করে বাংলাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে এবং বাংলার মানুষকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আমি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কিছু উজ্জ্বল মুহূর্ত।’

রাজ্যে ২১৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠেছিল, বিধায়ক না হয়েও কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনো বাধা থাকে? কিন্তু না, পরে নিশ্চিত হওয়া গেল, সংবিধান অনুযায়ী মমতার শপথগ্রহণে কোনো বাধা নেই।

আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়: ওবায়দুল কাদের

জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পরের দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজ্য মন্ত্রিসভার জন্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। আর গত সোমবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যপালের কাছে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।