অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারিত হলে আইনি প্রতিকারের উপায়

অনলাইন কেনাকাটা
প্রতীকী ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের বেশিরভাগ সময়ই কাটছে ঘরবন্দি হয়ে। ফলে অনেকেই নিজের পছন্দের পণ্য কিনতে নির্ভর করছেন অনলাইন কেনাকাটায়। এক্ষেত্রে বেড়েছে প্রতারণার মাত্রাও।

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হলে রয়েছে আইনি প্রতিকার ব্যবস্থা। যদি একজন অনলাইন কিংবা অফ লাইনের ক্রেতা হিসেবে কোনও প্রতারণার শিকার হোন তাহলে কয়েক ভাবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এই ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ ক্ষতিপূরণের মামলা করা যেতে পারে; ফৌজদারি আদালতে ৪২০ ধারার আওতায় প্রতারণার মামলা করা যেতে পারে; দ্যা সেলস অফ গুডস অ্যাক্টস এর আওতায় প্রতিকার পাওয়া যায়; চুক্তি আইনে প্রতিকার পাওয়া যায়। এমনকি প্রতিটি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।

অন্য আরেকটি পন্থা হচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করা। অনলাইনে প্রতারিত হলে সংশ্লিষ্ট সাইট বা গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগটি লিখিত আকারে ক্রয়ের রশিদসহ যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত করে ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ের ফ্যাক্স বা ই-মেইলে দিতে হবে। ঢাকা ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পণ্য কেনার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিকট অভিযোগ জানাতে হবে।

অধিদফতরে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা নিরূপণে দুই পক্ষ থেকে শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার আদেশ দিবেন। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় শেষে ২৫ শতাংশ আদায়কৃত টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা বা ক্রেতাকে প্রদান করা হবে।