পালিয়ে বিয়ের, এক বছর পর লাশ হয়ে ফিরলেন তরুণী

কলেজছাত্রী হত্যাকাণ্ড
স্বামী আকাশের সঙ্গে সীমা

প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ের এক বছর পর লাশ হয়ে ফিরলেন সিমা আক্তার নামের ফেনীর এক তরুণী। তার অনাগত সন্তানও পৃথিবীর আলো দেখতে পারলো না। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে দাদীর কবরের পাশে দাফন করা হয় জেলার সোনাগাজীর এই তরুণীকে।

নিহত সিমা আক্তার উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁওয়ের ইতালি প্রবাসী মো. ইব্রাহিমের মেয়ে। তিনি ফেনী জয়নাল হাজারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকাশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বছরের ১০ রমজান পালিয়ে বিয়ে করেন সিমা।

এরপর তারা কখনো চট্টগ্রাম কখনো ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন।  কয়েক মাস আগে আকাশ ঢাকার উত্তর বাড্ডা সংলগ্ন ভাটারা থানাধীন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ইতোমধ্যে সিমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দেড় মাস আগে আকাশের পরিবারও সে ঢাকার বাসায় উঠে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে আকাশের মোবাইল থেকে পাশের ফ্ল্যাটের এক নারী সিমার বাবাকে ফোন করে জানান তার মেয়ে মারা গেছেন। ঢাকার বাসা থেকে লাশ নিয়ে যেতে বলা হয় তাকে।

খবর পেয়ে ইব্রাহিম ঢাকায় গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ভাটারা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় সিমার বাবা ইব্রাহিম বাদী হয়ে স্বামী আকাশকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ইব্রাহিম বলেন, আকাশ পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।