কওমি মাদ্রাসাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি

আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসার জন্য আলাদা শিক্ষা নীতিমালা ভবিষ্যতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

দলটির নেতারা দেশের এমপিওভুক্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা নীতিমালা তৈরি করা হলেও কওমি মাদ্রাসাগুলোর এর আওতায় না থাকার কথা তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের নেতারা বলেন, কওমি মাদ্রাসা সরকারি স্বীকৃতি ভোগ করে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাজ করছে। তারা অতিমাত্রায় সরকারি সুবিধা গ্রহণের ফলে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণে উৎসাহী হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে একই সিলেবাসভুক্ত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করার দাবি জানান নেতারা।

তারা বলেন, সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসা বোর্ড হতে তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে ঘোষণা এসেছে, তা অনেকটা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যতদিন এ ধারার মাদ্রাসাগুলো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে না ততদিন তারা একের পর এক ভিন্ন নামে, ভিন্ন কর্মসূচিকে সামনে এনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাবে। তাই কওমি মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে অবিলম্বে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এমএ মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।