আরও আলোচনা করে কওমি মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্ত

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ রয়েছে। এদিকে রমজানের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নূরানী মাদ্রাসা এবং ঈদের পরে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে মাদ্রাসা পরিচালনাকারি বোর্ডের প্রতিনিধিরা।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে শিশুদের ঝুঁকি বিবেচনা করে অন্যান্য শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের মতো মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ রেখেছে। এখন মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি নিয়ে তারা আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেনিকক্ষে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল মাদ্রাসাগুলোর ক্ষেত্রে।কওমি এবং প্রাথমিক স্তরের নূরানী মাদ্রাসাগুলো খোলা ছিল। তবে এবার সংক্রমণের বিস্তারের মুখে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনে কওমী এবং নূরানী মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।

পড়ুন: ২৩ মে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আগের সিদ্ধান্তে অনড় সরকার

এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসা খুলে দেওয়া দাবি নিয়ে গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল-জামি’আতুল কওমিয়ার প্রতিনিধিরা।

কওমী মাদ্রাসা খোলার পেছনে মাদ্রাসা পরিচালনাকারি বোর্ডের যুক্তি হলো, রমজানের সময় মানুষের সহায়তা থেকে মাদ্রাসার অর্থের একটা বড় যোগান আসে। আর কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রতি বছর নতুন শিক্ষাকার্যক্রমে ভর্তির মৌসুম। এই বিষয়গুলো তারা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি জানিয়েছেন, দাবির বিষয়ে তারা বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনতো মহামারি চলছে। এই অবস্থায় আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। ফলে মাদ্রাসা না খোলার পক্ষে আমরা সবাই রয়েছি। তারপরও তারা যেহেতু এই দাবি করেছেন। আমরা আলোচনা করে তাতে সিদ্ধান্ত নেবো।