প্রধান শিক্ষকের ভুলে অনিশ্চয়তায় ২৮ এসএসসি পরীক্ষার্থী

এসএসসি পরীক্ষা
এসএসসি পরীক্ষার্থী

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার নন্দুনেফরা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ফরম পূরণ না হওয়ায় তারা এ অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণের টাকা জমা দিয়েছেন। তেবে তিনি ফরম পূরণ করে জমা দেননি। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

নন্দুনেফরা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যাল থেকে ২৮ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে তিন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। আর বাকি ২৫ শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বিলম্ব ফিসহ তাদের ফরম পূরণের শেষ দিন ছিল গত ১৫ এপ্রিল।

এ বিষয়ে ইউএনও নূর-এ-জান্নাত রুমি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগপত্র পাওয়ার পরপরই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন ইউএনও।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষককে ফরম পূরণের টাকা দিলেও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেননি। বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে দেখা করলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, কীভাবে ফরম পূরণ করবেন সেটি তার বিষয়। নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ না হওয়ায় কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নেবেন এ নিয়ে মানসিক চাপে পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে ২০০০ সালেও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ বছরও যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ শাহ আলম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ফরম পূরণ স্থগিত সংক্রান্ত সংবাদ পড়ে ফরম পূরণ স্থগিত রেখেছিলাম। এ বিষয়ে কোনও দাফতরিক চিঠি পাইনি। পরে বোর্ডে যোগাযোগ করলে আমাকে ফরম পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তাদের ফরম পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দাবি করেছেন, আগামী সপ্তাহে ফরম পূরণের ব্যবস্থা করবেন। যেকোনও উপায়েই ফরম পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।’

এই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক কেন এটা করলেন তা বোধগম্য নয়। তিনি বড় ধরনের অপরাধ করে ফেলেছেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কিংবা অটো পাস দুই প্রক্রিয়াতেই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ জরুরি।’