দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন শফিউল্লাহ, দায়িত্ব ছিল পদ্মা সেতুরও

অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ
অধ্যাপক এ এম এম শফিউল্লাহ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম এম শফিউল্লাহ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৭৪ বছর বয়সী অধ্যাপক সফিউল্লাহ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত বুয়েটের ১০ম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের’ উপাচার্যের দায়িত্বও নিয়েছিলেন।

অধ্যাপক ড. এ এম এম শফিউল্লাহ ১ আগস্ট ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন (পরবর্তীকালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ নামকরণ করা হয়েছে)। ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে যথাক্রমে বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। পরে তিনি ১৯৮১ সালে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. করেন।

অধ্যাপক ড. এ এম এম শফিউল্লাহ ১৯৭৩ সালে বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক হয়েছিলেন। তিনি আগস্ট ২০০৬ সালের থেকে আগস্ট ২০১০ পর্যন্ত বুয়েটের ১০ম উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত হন।

পরে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের প্যানেলেও ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি পদ্মা সেতু (বাংলাদেশে নির্মিত বৃহত্তম কাঠামো) নির্মাণের জন্য বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে কাজ করছিলেন। এছাড়া তিনি আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও তৃতীয় উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, অধ্যাপক ড. এ এম এম শফিউল্লাহ সস্ত্রীক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল (শুক্রবার) উনার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে ভ্যান্টিলেশন দেওয়া হয়। আজকে বিকেলে উনি মারা গেছেন।

আগামীকাল রবিবার (২৫ এপ্রিল) জোহরের নামাজের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে জানাজা শেষে পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী স্থানে অধ্যাপক সফিউল্লাহকে দাফন করা হবে বলে জানান অধ্যাপক মিজানুর রহমান।